A Preface to Postmodern Philosophy
Shikdar Mohammed Kibriah, Bangladesh
Part-3
We must have a clear idea about the nature and features
of modern philosophy on the eve of postmodern philosophic thought suitable for
the postmodern age. Its similarities and differences with ancient and medieval
philosophy are also relevant. Ancient or Greek philosophy was originally
aesthetic. Truth, well-being and beauty were the goals of this philosophy. In
this philosophy, the world was considered as a work of art. Meditation was more
influential in ancient philosophy than analysis. In meditation the world was
discovered or perceived as an orderly whole. The nature of the object was
explored in its form. However, the philosophy of some, such as Democritus, was
an exception to the aesthetic genre. Though ancient in terms of time, they were
close to modernity in terms of mentality and attitude.
Compared to the ancient contemplative
philosophy, modern philosophy is purely plain and meticulously analytical. Not
aesthetically pleasing like ancient philosophy, naked truth is really the goal
and preoccupation of this philosophy. In this philosophy it is impossible to
satisfy the feeling and taste at the same time. In modern philosophy, the
spirit is abandoned in order not to associate the world-nature with human
values. In this philosophy, the world is not a living whole, but an machine. It
is not a work of art, but an object of clockwork; Which can be understood only
through analysis and not through meditation. There is no purpose to this world,
only mechanical causation is present everywhere.
Religious senses are clearly more
influential in medieval philosophy than ancient aesthetics. Belief is the
controller of knowledge here-the determinant of scope and purpose. Thought
turns into worship. Attempts to comprehend and explain the nature of each
object are observed in the light of the Hereafter. Medieval philosophy is
preoccupied with metaphysical and transcendental matters, such as the nature
and attributes of God, the number of angels, and the immortality of the soul.The
target of science here is religion. The importance of man as a child of God and
that is why his job is to establish a relationship with God. God is the main,
the world is secondary. The world is considered here as a house on the ground
floor, over which God's grace reigns. As a result, medieval Western philosophy
turned into a formalist deep mysticism.
In the history of philosophy, the
Medieval is considered as the Dark Age. However, between the ancient golden age
of the history of philosophy and the modern age, when the progress of
epistemology was about to come to a standstill, the representative of the then
civilized world, the Arabs, held the beacon of knowledge. The contribution of
the Arabs to medieval civilization is undeniable. In that dark age, Arab logic,
medicine, art and literature played an influential role in bringing the Western
world out of the darkness of ignorance.
The Arabs have made historic
contributions to preserving the glory of the past for the present and the
future. They not only collected, and preserved Greek and ancient philosophy,
but also interpreted and improved it. That is why the modern age is inevitably
indebted to the Arabs.
The works of Euclid, Ptolemy, Galen and
other scholars with valuable commentary were first presented to modern people
through the Arabs in Arabic. Modern Europe derives its knowledge of
mathematics, medicine, astronomy, physics, botany, and chemistry from the
Arabs. It is pertinent to note that Ibn Sina was recognized and admired as an
undisputed expert in the field of medicine for the next five hundred years.
Arab thought was not merely contemplative.
As a sure way of scientific knowledge,
Muslim philosophers placed special emphasis on the method of observation and
inductive method. They did not only revive the scientific and metaphysical
teachings of the past, but also laid the foundations of modern civilization. In
the field of knowledge, the Arabs reintroduced the system of skepticism. Ibn
Khaldun gave a new lesson in history. Ibn Hazm emphasized the senses as the
source and vehicle of knowledge. Ibn Taymiyyah spoke of the ascending method.
In the Middle Ages, Muslim thinkers thus laid the foundation for the practice
of modern epistemology by playing the role of pioneers of observational and
experimental methods. Al-Kindi (801-873), Al-Razi (865-925), Al-Farabi
(870-950), Ibn Sina (980-1037) and Ibn Rushd (1126-1198) were some of the
influential Muslim philosophers of the Middle Ages. Ibn Rushd's Aristotelian
commentary also led to the initiative to rediscover Aristotle in Europe on the
eve of the Renaissance. [Ongoing: Upcoming part-4]
উত্তরাধুনিক দর্শনের পূর্বপাঠ
শিকদার মুহাম্মদ কিব্রিয়াহ
তিন.
আধুনিকোত্তর যুগের উপযোগী উত্তরাধুনিক দর্শনচিন্তার
প্রাক্কালে আমাদের অবশ্যই আধুনিক দর্শনের স্বরূপ ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা
রাখতে হবে। প্রাচীন ও মধ্যযুগের দর্শনের সঙ্গে এর সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্যের বিষয়গুলোও এক্ষেত্রে
প্রাসঙ্গিক। প্রাচীন বা গ্রিক দর্শন ছিল মূলত নান্দনিক (aesthetic)। সত্য, শুভ ও সৌন্দর্যই ছিল এ দর্শনের লক্ষ্যবস্তু। এ-দর্শনে
জগৎকে একটি শিল্পকর্মরূপে বিবেচনা
করা হত। বিশ্লেষণের চেয়ে অনুধ্যানই ছিল প্রাচীন দর্শনে প্রভাবশালী। অনুধ্যানের মধ্যেই
জগৎকে আবিষ্কার বা উপলব্ধি করা
হত একটি সুশৃঙ্খল সমগ্র হিসেবে। বস্তুর স্বরূপকে অনুসন্ধান করা হত এর আকারের মধ্যে।
অবশ্য ডেমোক্রিটাস প্রমুখ কারও কারও দর্শনচিন্তা নন্দনতাত্ত্বিক ঘরানার ব্যতিক্রম ছিল।
কালিক দিক থেকে প্রাচীন হলেও মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে এঁরা ছিলেন আধুনিকতার
কাছাকাছি।
প্রাচীন অনুধ্যানিক দর্শনের তুলনায় আধুনিক দর্শন
নিতান্তই নিরাভরণ ও সূক্ষ্ণ বিশ্লেষণধর্মী। প্রাচীন দর্শনের মত সৌন্দর্যপ্রিয় নয়, নগ্ন সত্যই আধুনিক দর্শনের লক্ষ্য ও উপজীব্য। এ
দর্শনে বোধ ও রূচির একইসাথে সন্তোষবিধান অসম্ভব। জগৎ-প্রকৃতিকে মানবীয় মূল্যবোধ-সংশ্লিষ্ট না করার
লক্ষ্যে আধুনিক দর্শনে চিদাত্মা(spirit)-কে বিসর্জন
দেয়া হয়। এ দর্শনে জগৎ কোন সজীব সমগ্র
নয়, নিছক একটি যন্ত্র। অনুধ্যানের
উপযোগী কোন শিল্পকর্ম নয়, বরং ঘড়ির গতিরূপ
একটি বস্তু; যাকে অনুধ্যান দিয়ে নয়—বিশ্লেষণের
মাধ্যমেই কেবল বুঝা যায়। এ জগতের কোন উদ্দেশ্য নেই, এর সবখানেই
কেবল যান্ত্রিক কার্যকারণ বর্তমান।
মধ্যযুগের দর্শনে প্রাচীন নান্দনিকতার পরিবর্তে
ধর্মীয় ভাব সুস্পষ্টভাবে প্রভাবশালী। বিশ্বাসই এখানে জ্ঞানের নিয়ামক—পরিধি ও লক্ষ্যবস্তুর
নির্ধারক। চিন্তা পরিণত হয় উপাসনায়। পরকালের আলোকে প্রতিটি বস্তুর স্বরূপকে উপলব্ধি
করা ও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা পরিলক্ষিত হয়। ঈশ্বরের স্বরূপ ও গুণাবলী, স্বর্গদূতদের সংখ্যা ও আত্মার অমরত্ব ইত্যাদি পরাতাত্ত্বিক
ও ইন্দ্রিয়াতীত বিষয় নিয়েই ব্যস্ত মধ্যযুগীয় দর্শনচিন্তা। এখানে বিজ্ঞানের লক্ষ্যবস্তু
ধর্ম। মানুষের গুরুত্ব ঈশ্বরের সন্তান হিসেবে এবং এজন্যেই তার কাজ হল ঈশ্বরের সঙ্গে
সম্পর্ক স্থাপন। ঈশ্বরই মূখ্য, জগৎ গৌণ। জগৎকে এখানে গণ্য
করা হয় নিচুতলার একটি বাড়িরূপে, যার ওপর কার্যকর
ঈশ্বরের কৃপার রাজত্ব। ফলে মধ্যযুগীয় পাশ্চাত্য দর্শন এক আনুষ্ঠানিকতাধর্মী গভীর মরমীবাদে
পরিণত হয়।
দর্শনচর্চার ইতিহাসে এ-মধ্যযুগকে অন্ধকার যুগ হিসেবে
গণ্য করা হয়। তবে, দর্শনের ইতিহাসের
প্রাচীন স্বর্ণযুগ ও আধুনিক যুগের মাঝখানে জ্ঞানবিজ্ঞানের অগ্রগতি যখন স্থবির হবার
উপক্রম, তখন আরবরাই ধারণ করেছিল
জ্ঞানের আলোকবর্তিকা। মধ্যযুগের সভ্যতায় আরবদের অবদান অনস্বীকার্য। সেই অন্ধকার যুগে
আরবদের যুক্তিবিদ্যা, চিকিৎসাবিজ্ঞান, শিল্পকলা ও সাহিত্য পাশ্চাত্য জগৎকে অজ্ঞানতার
অন্ধকার থেকে বের করে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে পালন করে প্রভাবশালী ভূমিকা। আরবরা অতীতের
গৌরবকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্যে সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে রাখে ঐতিহাসিক অবদান। তারা
গ্রিক তথা প্রাচীন দর্শনকে কেবল, সংগ্রহ ও সংরক্ষণই
করে নি, বরং এর ভাষ্যপ্রদান ও উন্নতিবিধান
করেছে। এ কারণেই আধুনিক যুগ অনিবার্যভাবেই আরবদের কাছে ঋণী।ইউক্লিড, টলেমি, গ্যালেন প্রমুখ
পণ্ডিতদের রচনাবলী মূল্যবান ভাষ্যসহ আধুনিক মানুষের কাছে প্রথম উপস্থাপিত হয় আরবদের
মাধ্যমে— আরবি ভাষায়। আধুনিক য়্যুরোপ আরবদের কাছ থেকেই গণিত, চিকিৎসাশাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা ও রসায়নশাত্রের জ্ঞান লাভ করে। প্রসঙ্গত
উল্লেখ্য যে, ইবনে সিনা তাঁর পরবর্তী
পাঁচ'শ বছর চিকিৎসাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অবিসংবাদিত
বিশেষজ্ঞ বলে স্বীকৃত ও প্রশংসিত ছিলেন।
আরব-চিন্তা নিছক অনুধ্যানভিত্তিক ছিল না। বৈজ্ঞানিক
জ্ঞানের সুনিশ্চিত উপায় হিসেবে মুসলিম দার্শনিকরা পর্যবেক্ষণ ও আরোহ পদ্ধতি( inductive method)-এর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।
তারা অতীতের বৈজ্ঞানিক ও অধিবিদ্যক(metaphysical)
শিক্ষাকেই পুনরুজ্জীবিত
করে নি, বরং আধুনিক সভ্যতার ভিত
নির্মাণ করে। জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে আরবরাই পুনরায় প্রবর্তন করে সংশয় পদ্ধতি। ইবনে খালদুন
দেন ইতিহাসের নতুনপাঠ। ইবনে হাজম জ্ঞানের উৎস ও বাহন হিসেবে
ইন্দ্রিয়-প্রত্যক্ষের ওপর জোর দেন। ইবনে তাইমিয়া আরোহী পদ্ধতির কথা বলেন। মুসলিম চিন্তাবিদরা
মধ্যযুগেই এভাবে পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ পদ্ধতির অগ্রদূতের ভূমিকা পালন করে আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান
চর্চার ভিত স্থাপন করেন। আল কিন্দি(৮০১-৮৭৩), আল রাজি(৮৬৫-৯২৫), আল ফারাবী(৮৭০-৯৫০), ইবনে সিনা(৯৮০-১০৩৭) ও ইবনে রুশদ(১১২৬-১১৯৮) প্রমুখ
মধ্যযুগের প্রভাবশালী মুসলিম দার্শনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। রেনেসাঁর
প্রাক্কালে য়্যুরোপে অ্যারিস্টটলকে নতুন করে জানার যে উদ্যোগ শুরু হয়, তারও নেতৃত্বে ছিল ইবনে রুশদের অ্যারিস্টটলীয় ভাষ্য।
[ চলমান ]